অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্বে আমরা দেখতে পাই বড় ধামাকা, সূর্য এসেছে দিপাকে দেখতে।
সিরিয়াল আজকের পর্বে দিপা রেস্টুরেন্টে আগুন লাগায় অসুস্থ থাকায় সূর্যের খুবই চিন্তা হচ্ছিল। বাসায় এসে ভাবতে ভাবতে চারু দিপার খোজ নেওয়ার জন্য সাক্যবাবুকে কল করে,এদিকে দেখা যায় সূর্য ফোন স্পিকারের দিতে বলে,সূর্যের অস্থিরতা দেখে মনে হচ্ছিল দিপার জন্য তার মন উদ্বিগ্ন হয়ে আছে সে প্রাকশ করতে পারছে না।
ফোনের অপর পাশে সাক্যবাবু দীপার সেবা করছে বলে সূর্যের মনে সুস্থি আসে। আমরা দেখতে পাই সাক্যবাবু আগের থেকে দীপাকে অনেকটা মেনে নিয়েছে,রেস্টুরেন্টের এতো বড় ক্ষতি সময় দীপা পাশে ছিলো তাদের জন্য এতো কিছু করেছে তারা কখনোই ভুলতে পারবে না। পরিবারে মানুষের মতো দীপাকে সেবা করছে।
আজকের পর্বে আমরা দেখতে পাই অলি নিজের ভেতর ভয় পাচ্ছে তার বাবা তার মায়ের খোঁজ করছে কিনা,সে চায় না তার বাবা মা এক হোক,মায়ের প্রতি বাবার এতো ভালোবাসা দেখে অলির ভয় হয়, সে মনে করে বাবা তার থেকে মাকেই বেশি ভালোবাসে,অলির অসব উদ্ভট চিন্তা নেটিজেনরা কিন্তু ঠিক ভাবে নিচ্ছে না, কারন অজথা অলি মাকে দোষারুপ করে।যেখানে দীপার কোন দোষ নেই। দুই সন্তানকে নিয়েই সে বেচে থাকতে চেয়েছিলো সুন্দর একটা পরিবার চেয়েছিলো দীপা,ছোট থেকে মেয়ে কষ্ট ছাড়া আর কিছু পায়নি। স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে থাকার ভাগ্যটুকুনও তার হলো না।
গ্রুপ স্টাডি করার জন্য অলি বন্ধুের বাসায় যায়।সিরিয়াল টিতে অলির চরিত্র আপনাদের কাছে কেমন লাগে বন্ধুরা? অলি কি তার মায়ের সাথে ঠিক করছে?অলি মায়ের প্রতি ভুল ধারনা ভাঙলে কি করবে? চারুকে সে তার বাবার সাথে বিয়ে দিতে চায়। অলি মাকে যতোটাই ঘৃণা করুক না কেন সে তার মাকেই ভালোবাসে।
এদিকে সূর্য বুঝতে পারে দিপা ঠিক নেই তখন সে ঠিক করে নেয় যে সে দিপাকে দেখতে যাবে,এদিকে দিপাও যখন জানতে পারে অলিই তার সোনা তখন সে ভাবতে থাকে তার ডাক্তার বাবুর সাথে চারুর বিয়ে ঠিক হয়েছে কিনা, নানা রকম দিধায় ভোগতে থাকে দীপা। কাউকে ভালোবাসলে তার জন্য মানুষ কতো কিছু ভোগ করতে থাকে দীপা নিজের সবটা দিয়ে ভালোবাসেও কিছুই পেলো না, দুটি সন্তানকেও হারিয়ে ফেললো।
অনুরাগের ছোঁয়ায় আজকের পর্বে দীপা ভেবেছি সূর্য দীপাকে দেখতে আসবে,কিন্তু দৌড়ে নিচে এসে দেখে ডেলিভারি বয়। দীপা সূর্যকে কতোটা ভালোবাসে সেটা দীপার মুখ দেখলেই অনুমান করা যায়। বন্ধুরা সূর্য দীপা কি এক হয়েও হতে পারবে নাকি বরাবারের জন্যই আবারো আলাদা হয়ে যাবে। যতো বার সূর্য দীপা কাছাকাছি এসেছে ততোবারই তারা অনেক দূরে চলে গেছে।নিয়তি তাদের কখনো এক হতে দেয় নি।বার বার তাদের দূরে ঠেলো দিয়েছে,
অপর দিকে আমরা দেখতে পাই যে রুপা কষ্ট পেতে থাকে,কেন সেদিন তার বাবা তার মা ও তাকে শক্ত করে ধরে রাখেনি। যদি তারা এক সাথে থাকতো তবে কতো না সুন্দর কাটতো তাদের দিন। রুপার বাবার প্রতি একটা চাপা অভিযোগ আছে তবে সেটা বাবা মাকে না পাওয়ার।দীপার মতোই রুপাও খুবই কষ্ট পাচ্ছে,নিজের চোখ হারিয়েও যে সে তার মাকে বাবাকে খোঁজে চলেছে।সে তার বাবাকে সত্যি ভালোবাসে।রুপা তার পাপাকে বলে সে তার স্পেশাল ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হতে চায়। এটা শুনে সাক্য বাবু খুবই খুশি হয়। সত্যিকার অর্থে সাক্য রুপাকে খুব ভালোবাসে। নিজের মেয়ের থেকেও বেশি,মানুষ যখন আপন মানুষকে হারিয়ে ফেলে একা হয়ে যায় তখন ঠাই গোজার মতো কাউকে পেলে আকরে ধরে থাকতে চায়,তেমনি রুপাকে পেয়ে তিনি যেন পরিপূর্ণ। কি হবে রুপা যখন তার মাকে খোজে পাবো? পুরো পরিবারকে পাবে, সাক্যবাবু কি রুপাকে দীপার কাছে দিবে?
রুপা কান্না করতে থাকে আর বলতে থাকে আমি আমার মায়ের মতো হয়েছি। আমার মায়ের মতো কেউ হতে পারে না, সোনার সাথে থেকে তার মনে প্রশ্ন এসেছে কে সে,তাকে কেন এতো আপন লাগে সে কি তার হিংসুকুটি? তাই সে বলে আমি আসছি অলি আমি আসছি। দুই বোনের অনুভূতি এক হতে যাচ্ছে,খুব তাড়াতাড়ি সূর্য দিপা এক হতে যাচ্ছে, কিন্তু সোনা কি তার মাকে মেনে নিবে। নাকি মা বাবার মাঝে কোন নতিন ঝামেলা সৃষ্টি করে দিবে এই দীপাবলিতে কি সূর্য দীপা এক হতে পারবে, নিজেদের সব অভিমান অভিযোগ কি দূরে ফেলে এক হতে পারবে?
জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।