Anurager chhowa serial writing see new update 01 November
অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালে আজ প্রতিটা সেকেন্ড দূর্দান্ত ছিলো।
আজকের সিরিয়াল আনুরাগের ছোঁয়াতে দেখতে পাবেন সাক্কু বাবু দীপার জন্য দীপার মন ভালো করার জন্য রেস্টুরেন্টের ভিতরে দীপার পছন্দের জুঁই ফুল দিয়ে সাজিয়েছে। এসব দেখে তো দীপার মন একদম ভালো হয়ে গেলো। রেস্তোরাঁর ভিতরের চারপাশ থেকে জুঁই ফুলের গন্ধ ভেসে আসছিলো। দীপা এসব দেখে সাক্কু কে বলছিলো আপনি করেছেন এগুলা? তখন সাক্কু বলে আমরা সবাই মিলে সাজিয়েছি। দীপা আপনি সুস্থ হয়ে ফিরলেন তাই এসব করলাম। দীপাকে সাক্কু আরো বল্ল চারুর কাছে শুনলাম আপনার জুঁই ফুল খুবই পছন্দের তাই ঐ ফুল এনে সাজালাম। দীপার উপরেও জুঁই ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানিয়েছে রেস্তোরাঁর সবাই। এতো কিছু দেখে দীপা খুশিতে কেঁদে ফেলে।
চারুর প্রবেশ
হঠাৎ করেই চারু দীপার রেস্তোরাঁ বিগবং এ প্রবেশ করলো ফুলের তোরা হাতে নিয়ে। ফুলের তোরা দীপার হাতে দিয়ে দীপাকে চারু বল্ল তোমাকে সুস্থ দেখে আমার খুব আরাম লাগছে। তুমি সব সময় সুস্থ থাকো আর মজাদার রান্না করো। তখন চারু জিগ্যেস করলো আচ্ছা দীপা তুমি জ্ঞান হারালে কেমনে? তখন দীপা বল্ল তুমি আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না আমি সম্পূর্ন ঠিক আছি। চারুর দেওয়া ফুল দেখে দীপা ভাবলো এর আগেও তো চারু ফুল পাঠিয়েছে তাহলে এখন আবার কেন? তখন চারু বলে আমি তো তোমার জন্য ফুল পাঠাইনি। এই মাত্র তাই তোমার জন্য নিয়ে এলাম, এই ফুল তো তোমার খুবি প্রিয়। তখন দীপার আর বুঝার বাকী রইলো না যে আগের দিন দীপাকে সূর্য সেনগুপ্ত ফুল পাঠিয়েছিলেন। তখন দীপা তার আর সূর্যের সুন্দর মুহূর্তগুলা বার বারে মনে করছিলো। সূর্য দীপার জন্য জুঁই আনতো কারন সূর্য জানতো দীপার জুঁইফুল পছন্দ। কিন্তু দীপা সোনার কথা মনে করছিলো, সোনা যে তার মা দীপাকে সহ্য করতে পারেনা। সোনা চাই চারুই তার বাবা সূর্য সেনগুপ্তকে বিবাহ করুক। সোনার কথা ভেবে দীপাও মনে করে তার স্বামী চারুকে ভালোবাসে।
সূর্য দীপার মমেন্ট
দীপা সূর্যকেই ভাবছিলো তখন হঠাৎ সূর্য চলে আসে বিগবং রেস্টুরেন্টে। সূর্য কে দেখে দীপা চুপ করে তাকিয়ে থাকে,কোন কথা বলতে পারেনা দীপা। এরপর চারু এসে হঠাৎ বলে উঠলো অবশেষে ভাগ্য হলো তোমাদের দুজনের এক হওয়ার, অনেক বার এসএস এর সাথে তোমাকে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি কিন্তু কোন বার ই সফল হয়নি, আজ তোমাদের এমনি দেখা হয়ে গেলো আমাকে ছাড়াই, তখন চারু সূর্য সাথে দীপাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলো। সূর্য সব কথা হ্যাঁ বলে যাচ্ছে। এর পর দীপা আর দীপার বস, সূর্য চারু একটা টেবিলে বসে গেলো চা খাবে বলে। দীপা চা বানাবে নিজের হাতে। চারুরা সবাই মিলে গল্প করতেছিলো, হঠাৎ চারুর একটা ফোন কল চলে আসে, চারুর একটা জুরুরি মিটিং আছে বলে। তখন চারু সূর্য দীপাকে রেখে রেস্তোরাঁ থেকে চলে গেলো এই বলে যে তার খুব দরকার আছে। তখন দীপাও চলে যেতে চাইলো দীপা উঠে যেতে লাগলে সূর্য বল্ল দাড়াও দীপা তোমার সাথে কত বছর পর আমার দেখা হলো, তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে। কিন্তু দীপা না শুনে রান্নাঘরে দৌড়ে গেলো। তখন সূর্য দীপার কাছে গেলো আর দীপা সরে যেতে চাইলে দীপার শাড়ি আঁচল ধরে ফেল্ল, আর সূর্য বলতে থাকে আমি আর তোমাকে হারাতে পরিবনা তুমি প্লিজ আমার সাথে কিছু কথা বলো।
তাদের এসব কথা সাক্কু স্যার ও জেনে গেলেন, বুঝে গেলেন দীপা আর সূর্য স্বামী স্ত্রী, সাক্কু স্যার দরজার পিছনে দাড়িয়ে তাদের কথা শুনতেই থাকলো। এদিকে দীপা কিছুতেই সূর্য এর সাথে কথা বলবে না। দীপা বার বার ভেবে যাচ্ছে সূর্য তার জিবনে এগিয়ে গিয়েছে। চারুকে কিছুদিন পর সূর্য বিয়ে করে নিবে। এদিকে চারুও এসে দীপাকে বলে গেলো ওলির কথা ভেবে আমি আর এসএস বিয়ে করবো, খুব শীঘ্রই আমাদের আংটি বদল হবে, আর এর পর ভালো দিন দেখে বিয়ে করে নিবো। তাই চারু দীপাকে তাদের অনুষ্ঠানের সব দ্বায়িত্ব দীপা দিলো, দীপাকে বল্ল পুরো বাড়ি ফুল দিয়ে সাজাতে। দীপাও সব বিশ্বাস করে মনে মনে কষ্ট পেলো কিন্তু নিজের মন কে শক্ত করে চারুর কথায় রাজি হলো। দীপা এসব কিছু ভেবে সূর্য কে বল্ল আপনি আপনার জিবনে এগিয়ে যান চারুকে নিয়ে, চারু ভালো মেয়ে।কিন্তু সূর্য তখন দীপাকে পাল্টা প্রশ্ন করে জিগায় যে তার প্রতি দীপার কোন অনুভূতি আছে কিনা। তখন দীপা অস্বীকার জানাই। সূর্য বলে তাহলে এখনো কেন শাখা সিঁদুর পড়ে আছে দীপা ? আমার নামে তো তুমি এসব পড়ো। তখন দীপা বলে দেয় তার নিজের ব্যাক্তিগত ব্যাপার সে সিঁদুর পড়বে কি পড়বে না।
তখন সূর্য দীপাকে বুঝাই যে তাদের মেয়েকে ভালো রাখার জন্য তার থেকে দূরে সরে গেছে। সোনার জন্য নিজের স্ত্রী কে দূরে সরিয়ে দিছে। কিন্তু এখন সোনা একটু বুঝে, সোনা ছোট মানুষ তাই না বুঝে অনেক কিছু বলে ফেলে। সোনাকে এখন নাম চেইন্জ করে ওলি রেখেছে। কিন্তু দীপা কিছুই মানতে চাইনা। দীপা অঝোরে কাঁদতে থাকে। এতো বছর পর নিজের ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছিলো।কিন্ত আজ সূর্য দীপার মধ্যে অনেক দূরত্ব। এদিকে সোনা ভাবছে তার বাবা সূর্য সেনগুপ্ত চারুকে বলে দিবে দীপার কথা, সোনা এসব ভেবে অস্থির হয়ে আছে, ভাবছে চারু খুবি ভালো মানুষ, যদি সে শুনে দীপা আর সূর্য স্বামী স্ত্রী তাহলে চারু সূর্যের জিবন থেকে একেবারে চলে যাবে।
তখন দীপা আর সূর্য এক হয়ে যাবে। কিন্তু সোনা কিছুতেই চাইনা তার মা বাবা একসাথে থাকুক। খুবি জেদ করে সোনা। ঐ দিকে দীপা সূর্য কে বলছে আচল ছেড়ে দিতে। চলে যেতে বলছে সূর্যকে কিন্তু সূর্য চলে যাই না। কিন্তু দীপা পুরনো কিছু নিয়ে কথা বলবেই না, দীপা মনে করে ওদের সম্পর্কের আয়ু বেশি দিন ছিলো না। তাই সূর্য কে বলে চারুকে নিয়ে ঘর বাঁধতে। চারুর সাথে যেনো দীর্ঘ সম্পর্ক হয় সেই দোয়া করলো দীপা। কিন্তু সূর্য বল্ল তুমি ছাড়া আমি কাউকে আমার জিবনে আনতে পারবো না, তুমি জানো না শুধু সোনার কথা ভেবে আমি চারুর বেপার গুলাতে চুপ থাকি। দীপা বলে আমাদের সম্পর্ক বেঁচে নেই। তখন সূর্য অবাক হয়ে বলে তুমি এটা বলতে পারলে যে আমাদের সম্পর্ক বেচে নেই। তখন দীপা বলে উঠে আপনি নিশ্চিত থাকেন কোন দিন ও আমার অধিকার চাইতে আপনার কাছে যাবো না। তখন দিপা সূর্য কে সরিয়ে দিতে চাইলে সূর্য আরো কাছে চলে আসে দীপার।