Dui shalik serial writing see new update 05 November
দুই শালিক সিয়ালের এক্সক্লুসিভ আপডেট
দুই শালিক সিলিয়ারে ধমাকার পর ধামাকা হচ্ছে। ছাতা বাড়িতে ঝিলিক কিছুটা সমস্যাতেই আছে। কারন ঝিলিক তো বাড়ির কাজ কর্ম কিছু জানেনা। ঝিলিক জানে ক্যারাটি। ঝিলিক ছোট বেলা থেকে লড়াই করতেই শিখেছে বাড়ির গৃহস্থালির কাজ সে একেবারেই জানেনা, এসব বিষয়ে সে পুরা দমে অজ্ঞ। তবে ঝিলিক সব দিক সামলে নিতে পারছে। ছাতা বাড়িতে জেঠু ঝিলিকে ডেকে বলে মা তুই পুজার লিষ্টটা করে দে, আমি তো এসব পারিনা, তুই ছাড়া আমি একদম এগুলা পারবো না। তখন ঝিলিক মনে মনে বলছে আমিও তো পারিনা, এগুলা তো আখির কাজ। আঁখি ছাড়া এগুলা আমি পারবো না করতে। তখন ঝিলিক ভাবলো আঁখিকে কল করে সব জেনে নিবে। তখনি জেঠু বল্ল কিরে বল দেখি আমি লিষ্টটা নিয়ে বাজারে যাবো। তখন ঝিলিক বলে ফেল্ল কাল লিষ্ট করে দিলে হবে? জেঠু সহ বাড়ির সাবাই অবাক হয়ে গেলো যে এখন পুঁজোর জিনিসের নাম বলতে অসুবিধা কোথায় !
আঁখির ভালোবাসার ছোঁয়া
এবার আঁখি তো আছে ঝিলিকদের বস্তিতে। সেকানকার মানুষ আঁখিকে মাথায় তুলে রেখেছে।আঁখির চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে বস্তির সকল মানুষ আঁখির প্রশংসা করছে। এসব দেখে আখি একটু দূর্বল হয়ে যাই। আঁখি ভাবে সে মিথ্যার মধ্যে আছে। তবে আঁখিকে বস্তিতে রান্না বান্না করতে দেখে তার মা বাবা ভাবছে তাদের মেয়ের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মেয়ে সরস্বতী হয়ে উঠেছে। প্রতিযোগীতায় জিতে এবার সব কিছে জিতে নিচ্ছে। তার বাবা মা ভাবছে এতো দিতে তাদের মেয়ে তাদের মন মতো হয়ে উঠছে। তাদের মেয়ে ঘরুয়া হয়ে যাচ্ছে। আঁখির বিয়ে নিয়ে যে তার বাবা মা চিন্তা করতো এখন সেটাও করছেনা ভাবছে তাদের মেয়ে সব কিছুতেই পাকা এখন সব ভালো ছেলে তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হবে। অথচ বেচারা বাবা মা জানেই না এটা তাদের মেয়ে নয়। তাদের মেয়ে জুড়া বাড়িতে।
এদিকে আঁখি কে একা কাজ করতে দেখে দেবা ভাবলো আঁখির কষ্ট হচ্ছে। আঁখি প্রতিযোগীতায় জিতলো এখন আবার বাসন মাজছে। তাই দেবা আঁখিকে কাজ করতে না করলো এবং সেই কাজ দেবা নিজেই করতে শুরু করলো। আর আঁখিকে বলে দিলো রেস্ট নিতে।কিন্তু আঁখি বল্ল আমার অসুবিধা হবে না তুমি আমার জন্য চিন্তা করো না গো। আর এসব দেখে দেবার মাসি টা মনে মনে বলছে ঝিলিক আর দেবার সম্পর্ক যে দিকে যাচ্ছে সেদিকে যেতে দেওয়া যাবেনা। কুটিলা মাসি ভাবলো যে করেই হোক তাদের আলাদা করতেই হবে। এদিকে বস্তির অন্য মহিলা এসে কুপরামর্শ দিচ্ছে যে দেবা কে তুমি মানুষ করছো আর অন্য কেউ সুবিধা ভোগ করবে? এটা হতে দিও না। তাছাড়া দেবাকে যে একটা মেয়ে পছন্দ করে সে ও এসে বলতেছে ঝিলিক দেখিয়ে দেখিয়ে কাজ
করছিলো দেবার মাসিকে দেখানোর জন্য। দেবা ঝিলিকের বাবা মাকে টাকা দিয়েছিলো পাড়ায় খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য। এটা নিয়েও মাসির সমস্যা। তবে দেবা কিছুতে কর্ণপাত না করে শুধু আঁখির প্রেমে মজে আছে। আঁখি যেনো দেবার সব কিছু। আঁখিকে ভালোবাসার জন্য দেবার মন যেনো অস্থির হয়ে আছে।
এবার সবাইকে বস্তির লোক ডেকে আনলো কালি পুঁজোর জন্য। সবাই অনেক বেশি করে টাকা জমা দিতে হবে কালী পুজোতে। এদিকে একজন এসে বল্ল পিআরকে ফ্যাক্টরিতে কাজের কোন টাকা দিবেনা। বোনাস ও দিবে না। তারপর দেবা বল্ল দিবে না মানে কাল ফ্যাক্টরিতে তালা ঝুলিয়ে দিবো। তখন একজন পিআরকের স্পাইের ইশারাতে দেবার সাথে কথা কাটাকাটি বাধিয়ে দেয়। এসব দেখে আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়ে। আঁখির অসুস্থতা জন্য সবাই শান্ত হয়। আর ঝিলিকের বাবা ঘোষনা দেয় আঁখির টাকা দিয়েই কালি পুজো হবে, পুজো বন্ধ হবেনা। তখন সবাই রাজি হয়। এদিকে ছাতা বাড়ি থেকে ঝিলিক ফোন করে আঁখির কাছে পুজোর জিনিস পাতির লিষ্ট নিতে।তখন আঁখি উল্টো বলে উঠলো সে বস্তিতে থাকবে না। বস্তিতে দেবা ঝামেলা করেছে, দেবাকে সবাই দোরসা রুপ করছে। যে দেবা বস্তির লোকদের হয়ে লড়াই করে সেই দেবাকে দোষ দিচ্ছে এসব শুনে তো ঝিলিক রেগে গেলো। তারপর আঁখি কে বলে দিলো তার কালি পুঁজোতে কি কি করতে হবে। এরপর আখি আবার ঝিলিক্কে তার কাজটা বুঝিয়ে দিলো।
আঁখি এবং ঝিলিকের মিশন
আখি ফোনে কথা বলা শেষ করে দেখে দেবার মাসি পিছনে দ্বারিয়ে আছে। তারপর আঁখিকে কথা শুনাতে লাগলো। বল্ল এই ঝিলিক তুই প্রতিযোগীতায় জিতেছিস তোর বাবা মা টাকা দিয়ে মিষ্টি মুখ করাবে সবাইকে তাহলে আমার দেবার কাছে কেন টাকা নিলো। কি ভেবেছিস তুই? দেবা রাজা আর তুই রানি, রানির জয়ে রাজা টাকা উড়াবে! তুই আমার দেবার কাছ থেকে দূরে থাকবি, তখন দেবা এসব শুনতে পাই।আর তার মাসিকে এসে ধমক দেয় তখন আঁখি মন খারাপ করে চলে যাই। আর মন খারাপ করে চলে যাওয়াতে দেবার কষ্ট হয় তারপর দেবাও আঁখির পিছনে ছুটে আর বলে মাসির কথায় কিছু মনে নেস না উনি রেগে গেলে ভূল ভাল বকে। তখন আঁখি দেবাকে বলে এটা রাগ নয়, তুমি আমার জন্য অনেক করেছো এবার আমি একটা কথা বলি তুমি আমার কাছ থেকে দূরে থাকো। আমি চাইনা তোমার সাথে তোমার মাসির সম্পর্ক খারাপ হোক। তখন দেবা আঁখিকে বলে আমি কি তোর কেউ না। আখি বলে না কেউ না। এসব বলে আখি চলে যাই আর দেবা আখি আখি বলে ডাকতে থাকে।
এদিকে ব্লগ ভিডিও নিয়ে আসছে ছাতা বাড়িরর একজন। ঝিলিক কাজ করছে এসব ভিডিও করে সবাইকে দেখাচ্ছে আর বলছে পুজোর সব দ্বায়িত্ব তার থাকে সব সময়। ঠাম্মি বড় মা সব কিছু ঝিলিককে দিয়ে গেলো। এতো গুলা হাড়ি পাতিল মাঝবে কি করে ঝিলিক সেই ভেবে পাচ্ছে না। আখি বলছিলো কম আর এখন দেখি বেশি কাজ। ঝিলিকে মেঝে নকশা করার দ্বায়িত্ব দিয়ে গেলো ঠাম্মি। ঝিলিক তো আর এসব পারেনা। ঝিলিক মনে মনে ভাবছে প্রতিদিন একটা করে বিপদ, কাল সেলাই আজ নকশা !