Shubho bibaho serial writing see new update on 19 November
শুভ বিবাহ সিরিয়ালের আজকের পর্বের দূর্দান্ত বিবরণ পড়ুন
তেজের পর্দা ফাস!
সুপ্রিয় বন্ধুরা আজকে শুভ বিবাহে আমরা দেখতে পাই বুড়ো ছদ্মবেশে আর কেউ নয় তেজ বসু মল্লিক! সেটাও নিজের বউকে পাওয়ার জন্য। সুধা যখন তেজের মুখস খুলল তখন দেখে তেজ,ঠাম্মি তো তখন অবাক। সুধা তেজকে বলে আপনি বড়ো ছদ্মবেশে আমাকে ঠকিয়েছেন। আমাদের হিরো তো রেগে আগুন সে কিনা ভালোর জন্য এসব করল আর সে বলে ঠকিয়েছে। বুড়োটার জন্য দরদ উতলে পড়ছে নাকি সুধাময়ী দেবি। এদিকে ভিলেন ঠাম্মি তো বলে আমার কথা তুমি রাখনি দাদু ভাই। তেজ সাহস রেখে বলে,আমি তোমার কথা রাখতে পারিনি ঠাম্মি কারন আমি চাইনি আমার এভাবে রাস্তায় নেমে একা কষ্ট করুক , আমি তার পাশে থাকতে চেয়েছি। আমিই আমার বউকে সিঁদুর পরিয়েছি। অন্য কেউ পড়াননি, আমি চাই না আমার বউয়ের মাথায় সিদুর অন্য কেউ পরাক তাই আমি সুধাকে সিদুর দিয়েছি। আর এখন আমাদের কেউ আলাদা করবপ না, ঠাম্মির মুখে তো চুন কালি পরে গেলো,তখন ঠম্মির সাথে আসা মহিলারা মাম্মিকে ধমকে যায় আগামী কয়কেক দিনের মাঝে যদি আপনার নাতবউকে ফিরিয়ে না নিয়ে যান তাহলে আপনার বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তেজের ঠাম্মির মুখে তো চুন কালি লেগে গেলো। ঠাম্মি কি এবার আর মুখ দেখাতে পারবে না নাকি সুধকে মেনে নিবে?
বউয়ের পাশে দাড়ালো তেজ!
তেজ কে তার ঠাম্মি সাথে নিয়ে যেতে চায়,সুধাকে যা নয় তা বলতে থাকে,তার ভুলাভালা নাতিকে নাকি সুধা পেচে ফেলে কাছে নিয়ে রেখেছে। ঠাম্মি যতই বলুক বউকে পাওয়ার জন্য তেজ এতো কিছু করলো শেষে কিনা ঠাম্মির এক কথায় চলে যাবে? কখনোই না সে এখানেই থাকবে।আমাদের ভিলেন ঠাম্মিও কি কম যায় নাকি তিনিও কম নয় তিনিও বলে দেন তাকে ত্যাজ করা হবে সব কিছু থেকে তাকপ বাদ দেওয়া হবে এবংকি ঐ বাড়িতেও যেতে দিবে না যদি না আজ তাদের সাথে যায়। কি আজব নিয়মের দুনিয়ায়। সবার কথা শুনলে মানুষ নিজের মনের কথা কখন শুনবেন। সুধাতো ঠাম্মিকে বলে ঠাম্মি আমার সাথে আপনার শত্রুতা আপনি কেন আপনার নাতীকে বঞ্চিত করবেন বসু মল্লিক পরিবার থেকে। ভিলেন ঠাম্মি কি সহজেই দমে যাওয়ার নাকি সেও ডায়লগ ছাড়তে থাকে।আমার পরিবারে কাকে রাখবো না রাখবো সেই কৈফিয়ত কি আমি তোমাকে দিব এই কথা বলার তুমি কে। সুধার উপর ঠাম্মির এতো টাই রাগ যে ঠিক ভুল কোনটাই তিনি মনে করছেন না তার মনের মতো করে যা ঠিক মনে হয় তাই ঠিক মনে করেন আসল কথা হলো সুধাকে কি করে হারনোর যায় সুধার থেকে তেজকে আলাদা করার জন্যই এই মহিলা এমন করছেন। সুধার তেজের হয়ে কথা বলা দেখে ঠাম্মি বলে তুমি আমাদের পরিবারের কেউ নয়,একটা বাইরে মেয়ে হয়ে তুমি আমাদের মাঝ কথা বলতে পারো না সেই অধিকার তোমার নেই।
ঠাম্মির কথা অমান্য!
বার বার ঠাম্মির আদেশ কে অমান্য করে বউয়ের পাশে দাড়ালো তেজ,তার কাছে সব কিছুর আগে সম্পর্কের মূল্য বেশি , তাই সে বসু মল্লিক পরিবারের কোন টাকা পয়শা অর্থের পরুয়া করে না, সম্পর্কের মূল্য করে বলেই আজ সপ সুধার পাশে থাকতে চায়,সুধা ডিভোর্সি জেনেও তার সাথে সে সম্পর্ক রাখতে চায়। তার কন সম্পত্তির প্রয়োজন নেই সপ সব কিছু কে ফেলে সুধাকে বেছে নিতে চায় এতে যদি সে সেই পরিবারকে ত্যাগ করতে হয় তবুও সে করবে। তেজ তাট বউয়ের সম্মনের জন্য হাসি মুখপ সব তঢ়াগ করতে চায়, ঠাম্মির কথার ফুল ঝুড়ি সে তো বলে তাকে ছোট করে সে সুধাকে বেছে নিল,তখন তেজ বলে আমি কিন্তু কাউকে ছোট করিনি,আমি বসু মল্লিক পরিবার থেকে পাওয়া শিক্ষা তোমার থেকে পাওয়া শিক্ষার মূল্য দিচ্ছি সেটা সবাই একদিন বুঝবে ুএবং কি তুমিও। সুধাকে ইচ্ছে মতো বকে ঠাম্মি সেখান থেকে চলে যায়,এতো টুকু কি সুধার প্রাপ্য ছিল সে তো সবাইকে এক করে বাঁচতে চেয়েছে।
তেজকে বাদ দেওয়া হলো ব্যবসা থেকে!
গুডাউন থেকে ফিরে বাড়িতে সবাই এসেছে তেজের বাবা তো ছেলেকে বাহবা দেয় সে ব্যবসার কথা না ভেবে নিজের স্ত্রীর কথা ভেবে তার পাশে দাড়িয়েছে।এমনটা করতে কয়জন পারে। বাড়িতে এসে হিটলার ঠাম্মি তো ঘোষনা দিয়ে দিলো সমুদ্রকে বানাবে তেজ বেকারীর উত্তরাধিকারী। তেজকে বাদ দিয়ে দিলো এসব থেকে। তেজের কি এসবে কোন কিছু যায় আসে? সে তো তার বউকে কাছে পেয়েছেই।সব কিছু হারিয়েও সপ বড় অর্জন পেয়েছে তার বউ। নিজের বউকে সে হারাতে চায় না। সে জন্য ঠাম্মির বিরুদ্ধে গিয়ে সে সুধার পাশে দাড়িয়েছে। সুধা তেজকে ঐ বাড়িতে ফেরত যেতে বলে,কারন তিনি ঠাম্মিকে কষ্ট দিতে চান না, কিন্তু ঠাম্মিতো এসব আবেগ বুঝার মতো মানুষ না। তিনি নিজের মনে কথা ছাড়া করো কথা শুনেন না।
সুধাকে তিনি মেনে নিবেন না বলে ঠিক মনে করেছেন সেটাই করছেন। সমুদ্রের বিয়ে ঠিক করলেন তিয়াসার সাথে। ঠাম্মির জন্য মন খারাপ সুধার তিনি তার নাতীকে খুব ভালোবাসেন। তবুও সুধার থেকে আলাদা করতে তিনি নিজে হার মনছেন না। সমুদ্র তো প্রেম করছে সুধার বোনের সাথে, এরা যদি বিয়ে করে ফেলে তাহলে ঠাম্মি কি করবে,এমনিতেই সুধার জন্য তিনি সব কিছু থেকে তেজকে বাদ দিয়েছেন এবার কি তাহলে সমুদ্রকেও সব কিছু থেকে বাদ দিবে নাকি সব কিছুর জন্য সেই সুধাকেই দায়ী করবে?