Tentulpataa serial writing see new update 10 November

Admin
By -
0

Tentulpataa serial writing see new update 10 November . 

তেঁতুলপাতা আজের পর্ব দূরদর্শী ধামাকাদার পর্ব আপডেট। 


তেঁতুলপাতায় আজকের পর্বের আছে চমৎকার দৃশ্য,দেখা যায় দুজনর। কিছু রোমান্টিক সিন ঋষি ঝিল্লিকে খাইয়ে দেয়, দুজন দুজনের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে,আর সুন্দর একটা রোমান্টিক গান চলতে থাকে। মনে হয় দুজন খুব তাড়াতাড়ি দুজনের প্রেমে পড়বে। ঋষির অনেক বেশি কেয়ারিং ঝিল্লি কে একটু একটু করে কাছে আনছে, সামনে দিন গুলিতে আমরা দারুন কিছু দেখতে পাব,ঝিল্লির মতো চটপটে মেয়ে কিভাবে রমনী ও শান্ত হয়ে যাবে।

একটু ওর তার মা এসে  হাত তালি দিতে থাকে,যেন ছেলে ছেলের বউ অষ্টম আশ্চর্যের মতো কাজ করে ফেলেছে,এবং বলতে থাকে ছেলে বউয়ের দাস হয়ে গেছে, আরে বাবা ছেলে তার বউকে খাইয়ে দিবে কিনা সেটা তাদের বিষয়,ছেলেকে যাতা বলে যাচ্ছে। ঋষি বলে আমি খুবই ক্লান্ত মা, তখন বলে কাল থেকে যা হচ্ছে এসবের জন্য তোর বউ দায়ী আমি নই তোর বউ কে বল। তার ফুপি ও তার ছেলে এসে ঋষির মাকে উসকিয়ে দেয় বলে বউ না খেয়ে আছে বলে ছেলের করতো দরদ। আচ্ছা এসব ফুপি শাশুড়ী এরা কি এরকমই হয়ে থাকে।




গার্বাচদের পূজো করে উপোস থাকায় ঋষি ঝিল্লি কে খাইয়ে দিচ্ছিল,নিজেও খাচ্ছিল,এটা দেখে তার মা রেগে আগুন হয়ে যায়,ছেলের বউয়ের প্রতি এতো ভালোবাসা সে সহ্য করতে পারছে না।তার মনে হয় ছেলে তার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে, যাই হোক বাঙালি মা বলে কথা ছেলের বউকে না জালালে কি আর শাশুড়ী হওয়া যায়।তিনি সেই কথা সঠিক রাখার জন্য হয়তো ঝিল্লিকে এমন চাও দিচ্ছে ,ঝিল্লিকে চাকরি করতে দেওয়ার জন্য আবার কোন ফাদ পাতবে ঋষির মা। সকাল বেলা কোন নতুন নাটক করে চলেছে। ঝিল্লিকে কাজে আটকে দেওয়ার জন্য নানান বাহানা করে তারা। 




সবাই চলে যাওয়ার পর ঋষি ঝিল্লিকে লিখতে বলে। বউয়ের ইদানীং তার ভিষণ দায়িত্ব। ঝিল্লির অনেক কষ্ট হয়, যখন দেখে ঋষি ঝিল্লির আনা খাবার থেকে খাচ্ছে।  মনে মনে বলছে আমার মতো কষ্ট তো আর আপনি কখনও করেনি, আমি আপনার ঋন শোষ করতে পারছি না। আপনার ঋন আমার শোষ করতে হবে।কোনটাই সমানে সমান হচ্ছে না।কেন এতো ঋনের  মাঝে ফেলছেন।  দুজনের এই শোধ বোধ করার বিষয় টা কেম জানি। 

সকালে ঋষি অফিসে যাওয়ার সময় দেখে ঝিল্লি বাচ্চাদের খেলার ছলে পড়াচ্ছে,সে কিন্তু বাচ্চাদের ভালো কনভেন্স করে পড়াতে পারে। ঝিল্লির স্বপ্ন পূরনের ঋষি কাছে এসেছে। প্রতিটা স্বামীর উচিত তার বউকে এভাবে সাপোর্ট করা। তখন ঋষি এসে বলে তুমি আজ লেখালেখি করবে, কোন সময় নষ্ট না। ঝিল্লিকে এমন চাপ দেওয়ায় বলে আমি কি যখন তখন লিখতে পারব,আপনি যখন বলবেন তখনই কি লিখতে পারব।ঋষি বলতে থাকে আজব তো এর কোন দায়িত্ব নেই।একটু পর ঋষির টিফিন এনে দেন ঝিল্লি তা দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়। সবাই নানা কথা বলতে থাকে। তখন ঝিল্লি বলে আজ টিফিনে ঝিলেপি মোয়া নেই,গ্রিন সালাদ আছে যেটা খুবই হেলদি এটা শুনে ঋষি ভরকে যায়,যে জিলেপি ছাড়া কিছু বুঝে না সে সালাদ এনেছে,ঝিল্লি ঋষির কথা ভেবে তার প্রিয় খাবার বানিয়েছে। তার প্রতি এমন খেয়ালে সবাই খুব খুশি। মেয়েটা দিন দিন খুবই দায়িত্বশীল আর বড় হয়ে যাচ্ছে।

 



তখন মমো এসে বলে কেউ ভালোবেসে টিফিন দিলে নিতে হয়। এক জন আরেক জনকে দিয়ে সরি বলায়,বন্ধুরা দুজনের এই মিষ্টি মিল টুকু সবার কেমন লাগল বলেন?  আর দুজনের মিষ্টি মিল করিয়ে দিতে থাকে আর তখনি ঋষির মা এসে গোল বাঁধায়। বলে আমাকে না বলেই অফিস যাচ্ছিস,ঋষি বুঝতে পারে তার মা গোল বাধাবে তাই রিংকি দিয়ে ঝিল্লি কে ঘরে যেতে বলে।তখনি ঋষির মা বলে রান্না ঘরে চলো,আজ তুমি সবার জন্য রান্না করবে। কিন্তু ঋষি বাধা দিলে ঝিল্লি বাধা  দেয়। আমি রান্না করব কিন্তু ঋষির মন খারাপ হয়,সে চিন্তায় পরে যায়।তখন কাকিমুনি এসপ বলে কাল পূজা গেছে আজ খিচুড়ি হলে ভালো হয়। কিন্তু ঋষির মা মানবে না, এতো গুলি রান্না মেয়েটার কাঁধে দিয়ে তারা রাজ্য উদ্ধার করে ফেলেছে। এখন তারা শান্তিতে আছে। সে রান্না পারোক বা না পারুক।




বিভিন্ন পদের রান্না করতে বলে।ঝিল্লি যাতে কাজে যেতে না পারে সে জন্য এসব রান্নার কথা বলে কাজে আরকে দেয় যাতে সে কাজে যেতে না পারে।  ঋষির মা করা কথা বলে যায়। তাকে কাজের জন্য বাইরে বের হতে দিবে না।তাই না অজুহাত দিয়ে দিচ্ছে। তখন রিংকি এসে ঋষিকে বলে ঝিল্লিকে অনেক কাজ দেওয়া হয়েছে এখন কি হবে ঋষিও চিন্তায় পরে ঝিল্লিকেই বকতে থাকে,কেউ নিজে বিপদ ডেকে আনে।আগ বারিয়ে নিজে নিজে ফেসে যায় ঝিল্লি, ঋষি চায় সে লেখা লেখি করে নিজের একটি কর্ম সংস্থা তৈরি করুক। এদিকে আবার ঝিল্লি চায় ঋন পরিশোধ করতে।কি বিরাট কান্ড। 

ও ভাবে দুদিন হলো এখনো ঝিল্লিকে লেখা জমা দিতে হবে এখন যদি লেখা না জমা দিতে পারে তাহলে ওর কাজ থাকবে না।তখন তার পিসির সাথে কথা লাগে ঝিল্লি রান্না পারে না, তাহলে কি করে রান্না করবে তখন পিসি বলে বাড়ির বউ রান্না পারবে না তাহলে কি পারবে।তখন বলে বাড়ির বউ হলেই কি রান্না করতে জানা লাগবে। ঋষি রাগ করে বাসা থেকে চলে যায়। কারন সে ঝিল্লিকে বললে সে নিজে কাধে বিপদ ডেকে,সে রান্না না জানা সত্যেও রাজী হয়ে যায়। কেউ যদি নিজে কষ্ট পেতে চা তাহলে অন্যরা কি করবে।




ঋষি চলে গেলে পিসি এসে তার মায়ের সাথে, কথা লাগায়,বলে আমরা চলে গেলে কেউ সাহায্য করতে পারবে  না।  সবাই ছাদে চলে যায়। কিন্তু ঝিল্লি পরে বিপদে। সে  এতো রান্না কি করে করবে। কিন্তু ঝিল্লির  মাথায় চলে অন্য চিন্তা সে তো ঋন শোধ করতে চায়,আর ঋন শোধ করতে হলে তো চাকরি পেতে হবে। সে  একা এতো রান্না কি করে করবে,তবে সে দমে থাকে না, দুহাতে কাজে লেগে পরে। একটার পর একটা রান্না বসাতে থাকে,আর নিজের লেখার জন্যও সময় বের। এদিক ঋষি এসে ঝিল্লিকে সাহায্য করে। সাহায্য করার জিনিসটা বাড়িতে কেউ জানলে কি লংকা কান্ড ঘটবে কে জানে।এমনিতেই তাকে বাড়িতে দেখতে পায় না তার উপর বউকে লুকিয়ে সাহায্য করছে।

বন্ধুরা ঋষি তো তার বউকে সাহায্য করছেই,কিন্তু এর পর কি হবে। ঋষির মা দেখলে ঝিল্লিকে কি আরো বড় শাস্তি দিবে? নাকি কাজে যাওয়া বন্ধ করে দিবে। ঋষির  মায়ের অযথা পাগলামির কি প্রয়োজন আছে।  তার এসব কাজ করা কতোটুকু যৌক্তিক। এবার ঝিল্লি এসব কাজ করে কতোটুকু মন জয় করতে পারবে। পরে পর্বের আপডেট পেতে সাথেই থাকুন।




Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn more
Ok, Go it!