গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই সবাই লান্স করার জন্য নিচে আসলেও অদ্রিত এর মা খেতে আসেনি। অয়োনা এসে দাদুকে বলে দাদু বড় জেম্মা দরজা বন্ধ করে বসে আছে কিসুতেই খুলসেনা।ঠাম্মি শুভকে নিয়ে আসে শুভ সবাই কে ঘি ভাত খাওয়াবে বলে। তখন পুলক এসে বলে বড়ো বৌদি দরজা খুলছেনা। দাদা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তখন সবাই মিলে যায় অদৃতের মাকে বের করার জন্য। সবাই অনেক ডাকা ডাকি করে কিন্তু কেচুতেই দরজা খুলেনা। অন্যদিকে জিনিয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না ওর সাথে অদ্রিত এটা করতে পারে। জেনিয়ার মা বলে আমি জানিনা কাল থেকে সোসাইটি তে আমি মুখ দেখাবো কি করে। পুরো সোসাইটি জানে জিনিয়া রয় বাড়ির বৌ হবে। ওর বাবা বলে জিনিয়া তুমি ব্রেক নাও একটু। তুমি ফ্লোরিডা তে গিয়ে বন্ধু দের সাথে সুটি কাটিয়া আসো।জিনিয়া রেগে গিয়ে বলে কেন আমি পালাবো। আমি ওদের সাথে অন্যায় কিছু করিনি। আমার সাথে এতো কিছু হলো ওদের বাড়ির একটা লোক ও কেচ্চু বললানো।
অদ্রিত এর কাজিন গুলো সব জানে। ওরা সকলে মিলে একটা নোংরা গেম খেলসে আমার সাথে।ওর বাবা বলে বিয়ে টা হইনি ভালো হইসে। বিয়ের পর যদি তুমি জানতে পারতে অদ্রিত এর সাথে ওই মেয়েটার একটা সম্পর্ক আছে তাহলে কি তুমি সুখী হতে। এটা তুমি ভুলে যাও। জিনিয়া বলে হ্যা আমি ওকে ভুলে যাবো কিন্তু আমি এই অপমান ভুলবোনা। কখনোই না। এ দিকে অদ্রিত এর মা দরজা কেচুতেই খুলসেনা। অদৃতের বাবা তার মাকে ডাক দেয়। বলে দরজাটা খোলো আমরা কিন্তু এটা অন্যভাবে সমাধান করতে পারি । কিন্তু ওর মা বলে আমার কোনো সাজেশন এর প্রয়োজন নেই। আমাকে একটু একা থাকতে দাও। তখন অদ্রিত এখানে আসে আর ওর মাকে বলে মা তোমার মনে আছে তুমি যখন ছোটবেলায় আমার উপর রাগ করতে তখন বলতে তুই আমায় একদমই ডিস্টার্ব করিস না। কিন্তু আমি তোমার পিছন পিছন ঘুরে বেড়াতাম। প্লিজ তুমি দরজা খোলো মা। অদৃতের মা তখন বলে আমি তোমার কে আমি তোমার কেউ না।অদ্রিত বলে তুমি আমার মা আর আমি তোমার সন্তান এটাই আমাদের পরিচয়। ওর মা বলে তুমি এখন বিয়ে করেছো তোমার বউ এখন তোমার কাছে সবকিছু।
অদ্রিত বলে তুমি বেরিয়ে আসো মা।ওর মা বলে হয় তোমার বউ না হয় আমি যেকোনো একটা তোমার বেছে নিতে হবে। তারপর আমি ভাববো আমি বাইরে আসবো কিনা। ওর মার এমন কথাতে অদ্রিত ওখান থেকে চলে যায়।শুভ বলে বড়মা বাইরে এসো। আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি তোমার সামনে আসবো না। তুমি এমন থাকলে তোমার শরীর খারাপ করবে।অদ্রিত এর মা বলে তুই এখান থেকে যা। আমার সংসারটা ধ্বংস করে দিয়ে এখানে আসছিস আমার ভালো-মন্দ দেখতে। এখানে এসেছে ভালো মানুষ সাজতে। যতদিন ও বাড়িতে আছে আমি একটা দানাপানিও মুখে দেবো না। সেবোন্তি মনে মনে ভাবে ওই মেয়ের কাছে আমি কিছুতেই হার মানবো না। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। কিছুতেই দরজা খোলে না অদ্রিত এর মা। সবাই বাইরে থেকে ডাকছিল কিন্তু সাড়া নিচ্ছিল না। এরপর মেজ কাম্মা পিছনের দরজা দিয়ে গিয়ে দেখে দিদিভাই অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে নিচে। মেজো কাম্মা এসে সবাইকে বললে ডাক্তার এর কাছে কল দেই অদ্রিত।
কিন্তু সবাই মিলে দরজা খোলার চেষ্টা করছিল পারছিল না। তখন শুভ একটা ফুলদানি নিয়ে দরজার কাঁচ ভেঙ্গে তারপর দরজা খুলে। সবাই ভিতরে গিয়ে দেখে সেবন্তী মেঝেতে পড়ে আছে অজ্ঞান হয়ে। এরপর ডাক্তার আসে চিকিৎসা দেয়। অন্যদিকে শুভ কষ্ট পেয়ে ওখান থেকে চলে যায় বাহিরে। বাইরে গিয়ে নিজের মনের কষ্টগুলো একা একাই বলতে থাকে। শুভ বলে কেন আমার সাথে এমন হচ্ছে। যে বাড়িতে বড় হয়েছি সব চেনা মানুষগুলো কেন এখনো অচেনা হয়ে গেছে। আমার মনের কষ্টগুলো আমি কার সাথে শেয়ার করব। অদ্রিত দা কেউ বলতে পারব না বেচারা এমনিতেই অনেক চিন্তায় আছে। আমি আর বাড়তি করে তাকে টেনশন দিতে চাই না। আমার আজকে সব থেকেও যেন কেউ নেই। অন্যদিকে ডক্টার এসে সঅদ্রিত এর মা কে চিকিৎসা করে। বলে ডিহাইড্রেশনের ফলে এমন হয়েছে।
শুভ বলে এই পরিবারের সকলের সব খুঁটি নাটি আমি জানি। পরিবারের সকলকে আমি খুব ভালো করেই চিনি। কিন্তু আজকে কেন সবাইকে এত অচেনা লাগছে। আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমি কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারছি না। বাবা কেউ বলতে পারছি না। আদ্রিত দা কেউ বলতে পারছি না। আমি কি দেশে ফোন করবো। আমার বন্ধুদেরকে বলবো। কিন্তু ওদেরও তো খারাপ লাগবে। সবাই এতো আয়োজন করে আমার বিয়ে দিলো। তাহলে রইল টা কে যার সাথে আমি আমার কষ্টের কথাগুলো শেয়ার করব। নিজেকে সামলানোর দিন দিন এতটা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে কেন। বড়মা বলেছে দুজনের ভেতরে একজনকে বেছে নিতে। অদ্রিত দা কাকে বেছে নেবে। দুজনের ভিতরে কাউকে কি বেছে নেওয়া যায় নাকি। বড়মা কি কোনদিন আমাকে আদৌ মেনে নেবে। কিন্তু আমার কি দোষ যার কারণে বড় মা আমার সাথে এমন করছে। আমি তো ভালবাসি আদরিত দা কে। এতদিন না হয় বুঝতে পারিনি কিন্তু এখন যখন বুঝতে পেরেছি তাহলে আমি কেন আমার ভালোবাসা কে ছেড়ে চলে যাবে। আমি কোথাও যাবো না বাড়ি ছেড়ে আদ্রিত দা কে ছেড়ে। কিন্তু বড় মা তো মানবে না। না মানুক আমি লড়াই করবো। আমি লড়াই করে সবার ভালোবাসা জিতে নেব।next