আদ্রিদ চলে এলো শুভর কাছে!
গৃহপ্রবেশে চলছে দারুন টুইস্ট, দুজন ভালোবাসার মানুষ এক হতে চলেছে। অয়নার নাচের পার্টিতে জিনিয়া না এসে সে অন্য দের সাথে পার্টি করে।জিনিয়ার এমন অদ্ভুত কান্ডে আদ্রিদও খুবই বিব্রত।সে জিনিয়ার এই মিথ্যে বলাটা মেনে নিতে পারছে না। আদ্রিদ সবার সামনে জিনিয়াকে অপমান করে। বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে এসেই সে শুভর মুখে পরে,শুভ সুন্দর করে তাকে বুঝায় সে যতোই ভুল করুক তাকে সবার সামনে এভাবে অপমান উচিত হয়নি। তুমি জিনিয়াকে আলাদাভাবে বোঝাতে পারতে। বুঝলাম যে অনার নাচের ফাংশনের জিনিয়ার আশাটা খুবই প্রয়োজন ছিল কিন্তু জিনিয়া আসে নি।
মানুষের জীবনে ভালোবাসা নামক জিনিসটা কখন যে হয়ে যায় তা বুঝা বড় দায়। ভালোবাসা সে তো আপনার জীবনে কখন আসবে আর কখন যাবে তা চিন্তাই করা যায় না। এই বসন্তের মতো আসবে আর ঝড়ো হাওয়ার মতো হাওয়া দিয়ে কখন চলে যাবে তার হদিস নেই। ভালোবাসা তার গতিতে আসবে কখনো আপনাকে ভরিয়ে দিয়ে যাবে কখনো আপনাকে শূন্য করে দিয় যাবে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন। আপনার মনে হবে ভালোবাসা কখনো আপনার জীবনে আসেনি। কিন্তু আপনাকে সে ঠিক সময় মতো রাঙ্গিয় দিয়ে যাবে। তেমনি আদ্রিদের মনে তো বসন্তের ঝড়ো ফুলের মতো ভালোবাসার হাওয়া দিচ্ছে। প্রেম তার মনে হলুদ ফুলের মতো ফুটছে। শুভ নিউইয়র্কে আসার পর তার মনে যেন এক ফুলের মতো ভালোবাসা জাগা দিচ্ছে কখনো রঙিন কখনো ধূসর। তার মনে হচ্ছে সে শুভকে ভালোবেসে কিন্তু তার তো বিয়ে ঠিক।জিনিয়াকে তার ঠিক চমকে যাওয়া যাওয়ার মতো লাগে না সাধারণই কিন্তু শুভকে লাগে। শুভর সাথে সময় কাটাতে তার ভীষণ ভালো লাগে।শুভ এখানে আসার পর সে নানা বাহানা খুঁজেছে তার কাছে থাকার জন্য তার সাথে কথা বলার জন্য। ইচ্ছে করে সব কথা শুভকে বলে দিতে।কিন্তু শুভ এতোটাই সরল যে তাকে ইশারায় বুঝাতে চাইলে সে কিছুই বুঝে না। শুভ আর আদ্রিদ বাইরের বারান্দায় গল্প করছিল।আদ্রদিদের কাছে সময়টা খুবই ভালো কাটছিল।
ভালোবাসার কথা জানালো শুভ!
আমরা দেখতে পাই আদ্রিদ শুভকে ভালোবাসে সে ভালোবাসার কথা ওকে জানায় কিন্তু শুভ সেটা জানার পর কোন ভাবেই রাজি হয় না কারণ আদ্রিদের সাথে জিনিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। পরিবারের সবাই বিয়েতে রাজি বিয়ের কার্ড ছাপা হয়ে গেছে। তাছাড়া বড় মা তো তাকে দেখতেই পায় না। আর জিনিয়ার সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে আদ্রিদ কি করে বিয়ের কথা বলতে পারে তাই সে নানা দ্বিধায় ভোগতে থাকে। হঠাৎ কেন এমন কথা বলল। শুভ অনেক ভয় পায় সে আদ্রিদের ভালোবাসা অবহেলা করতে পারে না আবার উপেক্ষা ও করতে পারে না। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় সে আদ্রিদকে না বলে দেশে চলে আসবে। যতই সে আদ্রিদের কাছ থেকে দূরে চলে আসুক আর সে তার পিছু ছাড়ে না আদ্রিদকে না জানিয়ে শুভ দেশে চলে আসে। রাস্তায় সে আদ্রিদকে কল্পনা করতে থাকে। তাকে নেবার জন্য কাকা আসে একটা বড় গাড়ি করে,গাড়িটিকে সাজিয়ে কিন্তু শুভ সন্দেহ করে তাই কথা কাটিয়ে বলে এখন বিয়ের সিজন চলছে তাই গাড়ি সাজানো। শুভ পুরো রাস্তা জুরে আদ্রিদকে কল্পনা করে। এসে দেখে সবাই ফুল বরন ডালা সাজিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে। কোন কিছু সে বুঝতে পারে না। হঠাৎ আদ্রিদ আসে সামনে, সে প্রথমে কল্পনা ভাবে। কিন্তু সত্যি আদ্রিদ আসে তার সামনে,জানতে চায় ভালোবাসার ভয়ে পালিয়ে এলে কোনো। সে বুঝতে পারো গ্রামের মানুষ সবাই আদ্রিদের কথায় এতো সব আয়োজন করেছে।
কি হবে এবার তাদের পরিনয়ের?
কিন্তু সে তো পালিয়ে এসেছে এসব জিনিস তাকে আবারো সামনে আসছে।বিয়ের কথা বললে আদ্রিদ শুভ উপেক্ষা করে আদ্রিদকে চলে যেতে বলে।কিন্তু আদ্রিদ বলে তুমি যদি আমার এক কথায় একা বিদেশে যেতে পারো তাহলে আমি কেন ভালোবাসার জন্য আসতে পারব না। আর আমি আমার ভালোবাসা তোমার মুখে বলাবই,গ্রামের সকলে এসে শুভকে বলে রাজি হয়ে যেতে কিন্তু সে ঘরে গিয়ে কান্না করতে থাকে,সে দেখে ঘরের সব কিছু খুব সুন্দর করে সাজানো রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে সাজানো।শুধু আদ্রিদই জানে রজনীগন্ধা ফুল শুভর খুব পচ্ছন্দের। কিন্তু সে কি করবে ওখানে বড় মা তার বিয়ে ঠিক করেছে,সেখানে নিজের বলতে তার কেউ নেই। আর তার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে জিনিয়ার সাথে এখন যদি ওখানে থেকে পালিয়ে এসে তাকে এখন রাজি হতে হয়,পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে সে বুঝতে পারে না,সে নিজেও আদ্রিদকে ভালোবাসে। তাই তো ভালোবাসার ভয়ে সে ওখান থেকে পালিয়ে এসেছে।সে নিজেও কতোটা বাজে সময় পার করছে। হঠাৎ গ্রামের কাকি এসে বলে আদ্রিদ ক্ষেতের দিকে চলে গেছে, শুভ ভয় পেয়ে দৌড়াতে থাকে গিয়ে দেখে আদ্রিদ নিচে পরে আছে তাকে সাপে কামরেছে,আর সে ছটফট করছে, শুভ এসে তাকে কোলে নেয়,আর তার মনের কথা বলতে থাকে কেন করলে এমনটা আদ্রিদ দা,তুমি চলে গেলে না কেন,তার জন্যই তাকে সাপে কামড়েছে,আদ্রিদ বলে সে আর বাচবে না হসপিটাল অব্দি সে যেতে পারবে না,শুভ তাকে ভালোবাসে কিনা সে এটা জানতে চায়। শুভ কান্না করত থাকে আর বলে সেও তাকে ভালোবাসে,তাকো ছাড়া সে বাচবে না। অবশেষে তাহলে হিরো শুনেই ফেললো ভালোআাসার কথা,কি বন্ধুরা এতো দিনতো আমরা এই দিনটার কথাই ভাবছিলাম কবে আসবে সে দিন।
এবার কি রাজি হবে বিয়েতে শুভ?
তখনি আদ্রিদ উঠে পরে মাটিতে বসে। শুভ চমকে যায়,জানতে চায় সে এতোক্ষণ নাটক করছিলো তার সাথে,আদ্রিদ বলে নাটক তো করতেই হতো নইলে যে শুভ নিজের মুখে কখনোই বলত না ভালোবাসার কথা তাই এই মিথ্যা নাটক তাকে করতো হলো।ভালোবাসার জন্য সে এতো টুকু করতেই পারে। হঠাৎ সরিষা ক্ষেত থেকে এক দল বের হয়ে আসে আার বলে কি সিন ছিলো,প্রপোজ করার স্টাইলটা সেই ছিল। বলেই তারা ওখান থেকে পালিয়ে যায়। আদ্রিদ শুভকে একটা কানের দুল দেখায়,শুভ বলে এটা তো হারিয়ে গিয়েছিলো তুমি এটা কোথায় পেলে তখন আদ্রিদ বলে তোমাকে খুজে পেতে আমার যখন দেরি হয়নি তখন এটা কিছুই না,আমি পেয়েছি এটা আমার কাছে ছিলো,শুভ নিতে চাইলে আদ্রিদ কিছুতেই দেয় না।বলে সে যদি কাছে আসে তাহলেই সে তাকে দিবে। শুভে পরিয়ে দেয়, কি অদ্ভুত না দুটি মানুষ কি অদ্ভুত অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে তার জীবনের সাথে এক হয়ে গেলো, দুটো ভালোবাসা খুবই অল্প সময়ে এক হলো। প্রকাশ পেলো শুভর লুকোনো ভালোবাসা যেটা সে কখনো প্রকাশ করেনি,কিন্তু আদ্রিদ সে ই নিউইয়র্কে৷ গিয়েও যে শুভকে মনে রেখেছে শুভকে ভালোবেসে এটা সে ভাবতেই পারেনি, শভ তো রাজি হলো এখন তার সামনে কি হবে সে নিজেও জানে না। আর ওখানের সবাইকে না জানিয়ে।
আর ওখানে সবাইকে না জানিয়ে সে এখানে চলে এসেছে। সবাই কি করে নেবে,শুভ তো বিয়েতে রাজি হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তাবে এর মাঝে নতুন প্রস্তাব দেয় শুভকে বিয়ে করবে,কিন্তু এখানে কেউ নেই, তার বাবা নেই তখন সে বলে ওখানে সবাই রাজি,সবাই তাকে বিয়েতে রাজি হওয়ার জন্য বলে,খুবই তাড়াতাড়ি তাটা বিয়ের আয়োজন করে এক দম জাকজমক ভাবে। ওখান থেকে সবাই অনলাইনে তাদের বিয়ের লাইভ ভিডিও দেখতে থাকে সবাই খুবই ইনজয় করতে থাকে। ওদিকে আদ্রিদের মা খুব এক্সাইটেড থাকে জিনিয়ার সাথে বিয়ের জন্য, কিন্তু এদিকে ছেলে তাকে না জানিয়ে শুভকে বিয়ে করছে,শুভ বেচারির জীবনে কি অপেক্ষা করছে কে জানে। মেয়েটা খুবই সাধারন তার পথ চলা কি সহজ হবে?