Grihoprobesh serial writing see new update on 10 December

JR
By -
0

Grihoprobesh serial writing see new update on 10 December 

গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের দূর্দান্ত আপডেট পড়ুন 

অবশেষে আদ্রিদের দেখা শুভর!  




গৃহপ্রবেশে আজকের পর্বে আমরা দেখতো পাই অবশেষে এতো ঝামেলা পুহিয়ে শুভ সেই নদীয়া থেকে নিউইয়র্কে এসে পৌঁছেছে। এবং খুজে পেলো আদ্রিদকে। যে মানুষ টা তার ছোট বেলার খেলার সাথী। শুভ একটা করে আবদার করবে আর তা হাসি মুখে আদ্রিদ মেনে নিবে। তুষার পড়ে শুভ কাপতে থাকে কাথে কারন সে এর আগে কখনো নিউইয়র্কে আসে নি। মিষ্টি মেয়ে শুভ ও আদ্রিদের জুটিটা দেখার মতো দুজনকে কি মিষ্টি মানিয়েছে। শুভ অবশেষে জগদ্ধাত্রী মুর্তি নিয়ে পৌঁছাতে পেরেছে।শুভ ঠান্ডায় কাপতে থাকলে আদ্রিদ তার শরীরের মোটা পোষাকটি শুভকে পরিয়ে দেয়। শুভ জানায় সে গুর নিবে,কিন্তু এখানে গুর তো আর মুদি দোকানে পাওয়া যাবে না তাই সুপার সপে যেতে হবে। আদ্রিদ তাকে সুপার সপে  নিয়ে যায়, ওখানে নানা জাতীয় মশলা।দেখে শুভ এক কিলো গুড় আর মশলা নিয়ে তারা বাড়ি ফেরে।প্রিতিটা বড় লোক বাড়িতে যা হয় তাদের স্টেন্ডারের সাথে না মিললে ওরকম লোকজনদের সাথে তারা মিশে না তেমনি আদ্রিদের মা শুভ মুর্তি আনছে বলে সেটা তার ভালো লাগছে না। আরো যখন শুনেছিল শুভ হারিয়ে গিয়েছিল তখন তো লাগাতার তালে সবাই ভুল বুঝছিল। এক মাত্র আদ্রিদ আর ঠাম্মিরা ছাড়া। মানুষ শক্তের ভক্ত নরমের জম। যেখানে সহজ সরল মানুষ দেখবে সেখাই কষ্ট দিবে আর আঘাত হানার জন্য উঠে পরে লাগবে।পৃথিবীর মানুষদের এই অদ্ভুত নিয়ম। যা আমাদের সবাইকে মানতে হয় ইচ্ছে না থাকা স্বত্তেও। যে নিয়ম পাল্টানোর কেউ নেই।


গৃহেপ্রবেশ হল শুভর! 





শুভ কে নিয়ে সবাই গছিপ করলেও ওরা এসে দরজার সামনে দারায়,একটা মিষ্টি মেয়ের ভিন দেশে গৃহপ্রবেশ হয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সে এই ঝুট ঝামেলা সহ্য করে এতো দূর এসেছে একা। সাথে জগদ্ধাত্রীর মুর্তিও। কিন্তু সবাই আদ্রিদকে দেখে অবাক হয় সে এতো তাড়াতাড়ি বাড়িতে কখনো থাকে। হঠাৎ করে সে আজ বাড়িতে কেন ফিরল।আদ্রিদ সবাইকে গেস করতে বললে সবাই ভুল উত্তর দেয়। কিন্তু শুভ বলতে চাইলে আদ্রিদ এর মা মনে মনে বলতে থাকে একটা গ্রামের মেয়ে সে জানবে আদ্রিদের মনে কথা।কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে শুভ বলে কারন আজ ঠাম্মির জন্য দিন। ঠাম্মির জন্ম দিন এর জন্য সে আজ বাড়িতে তাড়াতাড়ি এসেছে। সাবাই অবাক হয়ে যায়। এবং নিজেরাও তো ভুলে গিয়েছিল ঠাম্মির জন্মদিন আজ। বাড়িতে একটা বৃদ্ধ মহিলার জন্ম দিন কেউ মনে রাখল।  দাদু সবাইকে বলল আমি তো আগে থেকেই জানতাম কেউ না মনে রাখলেও আদ্রিদ মনে রাখবেই সাথে তো শুভ যোগ হলো। সাবাই ঠাম্মিকে সরি বলছিলো। এর মাঝে শুভর কাজিনরা এসে তাকে জরিয়ে ধরে যেটা বাড়ির কিছু লোকদের ভালো লাগে না। 




শুভকে তার রুম দেখিয়ে দেওয়া হয়।এর মাঝে দাদু এসে দেখে শুভর হাত কেটে গেছে। সুন্দর ভাবে জগদ্ধাত্রী মুর্তি এতো দূর নিয়ে এসেছে সে জন্য তাট হাতের এই অবস্থা হয়েছে। দাদু ঔষধ নিয়ে আসতে গেলে আদ্রিদ এসে দেখে তার হাতের এই অবস্থা।  সে ব্যস্ত হয়ে পরে শুভ হাত নিয়ে। কারন সে এক সাথেই তো এতো দূর এলো তবুও সে একবারও খেয়াল করেনি।মেয়েটা একাই কতো কি সহ্য করলো, একটা অচেনা দেশ তাও যদি সেটা হয় নিজের দেশের কালচারের সাথে অমিল তাহলে কতোটা কঠিন হয় ময়েেদের পথ চলা তা শুধু ঐ মানুষটায় জানে। আদ্রিদ খুবই চিন্তিত হয়। দরজায় আদ্রিদের মা এসে দারায় তিনি ভাবেন মেয়েটা হাত দেখানোর জন্য আর কাউকে পেলো না সোজা আদ্রিদকেই দেখাতে হলো। ছেলের মায়েদের এই এক সমস্যা। তারা নিজেদের কোন দোষ দেখতে পায় না যস আছে সব সহজ সরল মানুষদের। তখনি আদ্রিদের মা জানায় সামনে মাসে তার বিয়ে সে যেন বিয়েটা খেয়ে তার পর যায়।শুভ খুব খুশি হয়।সে বলে জিনিয়ার সাথে আমার আলাপ করিয়ে দিও তোমার ছোট বেলার সব কর্তিকলাপ বলব। আদ্রিদ আর শুভর মাঝে অদ্ভুত সুন্দর বন্ধুত্ব আছে যা কিছু মানুষ অনেক বেশি সমস্যা ভাবে। তাই আদ্রিদের মা জিনিয়ার সাথে আদ্রিদে তেমন মেলা মেশা করতে দিতে চায় না। এই ধরনের মানুষ গুলি কেমন যেন তাড়া সব কিছু একটু বেশিই ভাবে এবং ভেবে নিজেদের সমস্যা গুলি ছেলেদের পেছনে লেগে যায় ও নিজেদের করা ভুল গুলি চাপিয়ে দেয় বাচ্চাদের তাদের মতো ছাড়ে না যার জন্য অনেক কিছু হয় যা তারা কল্পনাও করে না। 


বাঙালি খাবার কি বানাতে পারবে শুভ? 




বাড়িতে ঠাম্মি বাঙালি খাবার খেতে চায় তার জন্ম দিন উপলক্ষে, কিন্তু বাড়িতে তার জন্য এসব খাবার কে বানাবে।কিন্তু শুভ এসে বলে কে বানাবে আবার আমি বানাব। ঠাম্মি তার জন্ম দিনে খেতে চেয়েছে আর তার পচ্ছন্দের খাবার খেতে পাবে না তা তো হয় না। সে অয়নাকে নিয়ে চলে যায় কিচেন রুমে সেখানে গিয়ে দেখে অনেক বড় বড় মেসিন আর বিদেশি খাবার, যা সে আগে কখনো দেখেনি। সে ওখানে যা কিছু আছে তা দিয়েই রান্না করতে থাকে।এদিকে চলে আসে জিনিয়ারা সে ঠাম্মির জন্য বিভিন্ন বিদেশি খাবার নিয়ে আসে।কিন্তু এসব সুশি খেতে চায় না তার পক্ষে এসব কাচা মাছ খাওয়া সম্ভএনা ঠাম্মি খাবেই না আর সে জোর করছে, তখনি শুভ আসে এস বলে ঠাম্মিকে জোর কর না ঠাম্মি এসব খাবার খেতে পারবে না। জিনিয়া তো রেগে যায় সে আদ্রিদের মায়ের মন পাওয়ার জন্য এতো কিছু করছে আর সে বলছে খাবে না সে রাগ করে চলে যায়। কিন্তু শুভ তো জানে না সে কে। তাই ওরে জানতে পারে যেটা আদ্রিদের হবু বউ। তাই সে সহজ মনে কষ্ট পায়। তার জন্য সে এভাবে চলে গেলো।শুভ এসে সব খাবার সার্ভ করতে থাকে। ঠাম্মি এতো সব খাবার দেখে অবাক হয়ে যায়। বিদেশে থেকেও সে দেশিও খাবারের স্বাদ পাচ্ছে এটাই কম নাকি। ঠাম্মি এতে সব খাবার দেখে অবাক হয়ে যায়।এবং কি বাড়ির সকলে।


জিনিয়া চলে গেলো বাড়ি থেকে! 




বাড়ির সকলে মিলে ঠাম্মির জন্ম দিন পালন করে খুবই সুন্দর করে। সবাই যেন দেশে ফিরে গেছে। শুভ গিয়ে জিনিয়াকে ফিরিয়ে আনে জিনিয়া মেয়েটা একদমই ভালো নয় মেয়েটা শুধু লোভের জন্য আদ্রিদকে বিয়ে করছে সে পার্টি ও বাইরে সময় কাটিয়ে সারাদিন কাটায়। আদ্রিদের মাকে পটিয়ে তারা এই বিয়ে করাতে চাচ্ছে।  এবং আদ্রুদের মাও শুভর সামনে বার বার তাদের বিয়ের কথা বলছে।তিনি জানান ঠাম্মির জন্ম দিনের বড় করে অনুষ্ঠান করার সময় জিনিয়া ও আদ্রিদের এনগেজমেন্ট এর এনাউন্সমেন্ট করবেন।  কিন্তু জিনিয়াও সামান্য বিষয় নিয়ে শুভকে দোষ দিচ্ছে ও তাকে সহ্য করতে পারছে না। মেয়েটা এতেটাই বাজে যে আদ্রিদ শুভকে সাহায্য করায় সে বেশি বেশি করছে। একজন মানুষকে তারা সহজ ভাবে না কঠিন করে নিচ্ছে। সবাই রাতের ডিনারে বাইরে যায়।খাওয়া দাওয়া শেষে আদ্রিদ বলে তোরা সবাই বাড়ি যা আমি শুভকে আমাদের রিসোর্টটা দেখিয়ে নিয়ে আসি। আদ্রিদ শুভকে মাঝে মাঝে এমন করে দেখে যেন সে তাকে কিছু বলতে চায়। আদ্রিদ ও শুভ ছোট বেলার বন্ধু ছোট বেলায় কতো ভালে সময় কেটেছে তাদের। আদ্রিদ হয়তো শুভকে কিছু বলতে চায়। আদ্রিদ কি শুভকে ভালোবেসে ফললো নাকি এই ভালোবাসা সেই ছেট বেলা থেক।যেটা পরিাবার বা দেশ থেকে অনেক দূরে চলে আসায় তাদের ভালোবাসার কোন পূর্নতা পায়নি। আদ্রিদকি ছোট বেলা থেকেই শুভকে ভালোবাসত? 

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn more
Ok, Go it!